Disible Copy Pest

header ads

সুপ্তধারা ঝর্ণা | ঘুমিয়ে থাকি জেগে উঠি বর্ষায়

সীতাকুন্ড ইকোপার্কে সুপ্তধারা ঝর্ণার ট্রেইল যেখানে শুরু সেখানে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে সুপ্তধারা ঘুমিয়ে থাকি জেগে উঠি বর্ষায়। যেখানে আকাশে পাহাড় ঝর্ণা মিলে মিশে একাকার আর হাতছানি দিয়ে ডাকে সমুদ্র সেই অপরুপ প্রকৃতির নাম সীতাকুণ্ড। কবি নজরুল লিখে ছিলেন তার সেই বিখাত্য গানআকাশে হেলান দিয়ে পাহাড় ঘুমাই...’ সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যে আপনি বিমোহিত হবেন। এই ইকো পার্কে সহস্রধারা আর সুপ্তধারা নামে ২টি ঝর্ণা রয়েছে। সৌন্দর্য্য একটি আর একটিকে ছাড়িয়ে।

Suptadhara-Waterfall
সুপ্তধারা ঘুমিয়ে থাকি জেগে উঠি বর্ষায় | সিতাকুন্ড ইকো পার্ক

সীতাকুণ্ড বাজারের কি. মি. দক্ষিণে অবস্হিত ১৯৯৬ একরের সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক বোটানিক্যাল গার্ডেন। এটি বাংলাদেশের ১ম ইকোপার্ক। পার্কের মুল ফটকে এলে পাওয়া যায় প্রবেশ টিকিট ইকো পার্কের মুল প্রবেশ গেইট ছাড়াও সিতাকুন্ড বাজারে পাশদিয়ে আরও একটি রাস্তা রয়েছে চন্দ্রনাথ মন্দিরে প্রবেশের জন্য যারা ট্রেকিং করতে পছন্দ করে তারা এই পথ ব্যবহার করতে পারেন। চন্দ্রনাথ মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের  ধর্মিয় দর্শনিয় স্থান। প্রতি বছর এখানে বিশাল মেলা বসে।

ইকোপার্কের অন্যতম মূল আকর্ষন হলো প্রাকৃতিক ঝর্ণা হাজারো রকমের দুর্লভ প্রজাতির গাছ। তাছাড়া পার্কের চুড়া থেকে সোজা পশ্চিমে তাকালে দেখাযায় বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ। পাহাড়ী আঁকা-বাঁকা পথের বাঁকের সবুজ অরণ্যে মন হারান অনেকেই। সীতাকুণ্ড ইকোপার্কের ভেতরের যে সোন্দর্য্য তা এক কথায় অপরুপ। এখানে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির গোলাপ বাগান, অর্কিড হাউস, গ্রীণ হাউস, পদ্ম পুকুর, ভ্যালি ব্রীজ, প্রাকৃতিক লেক, নয়নাভিরাম ঝর্ণা, আর হাজারো পাখির কলতান। ভাগ্য ভালো হলে দেখা পেতে পারেন বাঁদর, নানারকম মায়া হরিণ সহ কয়েক প্রকার বণ্য প্রাণীরও

চন্দ্রনাথ রির্জাভ ফরেস্ট ব্লকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুশোভিত চিরসবুজ বনাঞ্চলের সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে সহস্রধারা নামের ঝর্ণা অবস্থিত। প্রায় হাজারখানেক সিড়ি ভেঙ্গে আপনাকে পৌঁছাতে হবে ঝর্ণার কাছে। বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি সময় এই ঝর্ণায় পানি থাকে না। যদি বর্ষাকালে এখানে যান তবে তবে ঝর্ণার পরিপূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। 

-------------- ভ্রমণের তথ্য --------------
  • অবস্থান                        : ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক
  • ভ্রমন ক্যাটাগরি             : ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি
  • ভ্রমনে উপযুক্ত সময়       : বর্ষা কাল (মার্চ থেকে অক্টোবর)

  • কীভাবে যাবেন : ঢাকার সায়দাবাদ, কমলাপুর, গাবতলি থেকে হানিফ, শ্যমলি, ইউনিক, সহ প্রায় সব পরিবহনের বাস প্রতি রাতেই ছেড়ে যায় চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যেসীতাকুণ্ড বাজার বাসস্টেশনে নেমে এখান থেকে কিলোমিটার দুরত্বে সীতাকুন্ড ইকোপার্কে অবস্থিত। কমলাপুর থেকে রাতের ট্রেনেও যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে সীতাকুন্ড রেলস্টেশনে নেমে অটোরিক্সা বা সিএনজি যোগে যেতে হবে ইকো পার্কে। 

  • নোট : জনপ্রতি মাত্র ১০ টাকার টিকিটে ঘুরে বাড়ানো যায় পার্ক বোটানিক্যাল গার্ডেনের সর্বত্রই। পার্কের মুখেই রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের সু-ব্যবস্থা। কেউ ইচ্ছে করলে গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন উপরেও। তবে সেক্ষেত্রে টেক্সী, মোটর সাইকেল, মাইক্রো বা অন্য গাড়ি ভেদে ট্রাভেল চার্জ দিতে হয়এখানে পিকনিক/বনভোজনের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট। নির্দিষ্ট ভাড়ার বিনিময়ে এগুলো ব্যবহার করা যাবে।

Post a Comment

1 Comments