Disible Copy Pest

header ads

উপভোগ করুন চিংড়ি ঝর্ণার মোহনিয়তা


বান্দরবান ভ্রমন | চোখ ধাঁধানো চিংড়ি ঝর্ণা

বগালেকের খুব কাছেই অবস্থিত চিংড়ি ঝর্ণা সমুদ্র প্রষ্ঠ থেকে প্রায় ২৩০০ ফুট উপরে অবস্থিত। বান্দরবান ভ্রমনে আসা বেশীর ভগ পর্যটক বগালেক এবং এর আশে পাশের এলাকা ঘুড়েই তাদের ভ্রমন শেষ করেন। তবে আপনি যদি মাইলের পর মাইল হাঁটতে সক্ষমহন; প্রকৃতির অপূর্ব সুধা পান করতে চান আর চোখ ধাঁধানো ঝর্ণার রূপসুধা পান করতে চান; উপভোগ করতে চান ঝর্ণার কলকাকলি আর বন্য পরিবেশে মিশে যেতে চান তবে আপনাকে পাহাড়ি বন্ধুর পথে স্বাগতম।
 
chingri-Waterfall
চিংড়ি ঝর্ণা |বান্দরবান

বগালেক থেকে দেড় থেকে ঘন্টার পথ চিংড়ি ঝর্ণা। প্রায় ১৬০-১৮০ফুট উপর থেকে পাহড়ের গা বেয়ে অঝর ধারায় নেমে আসছে ঝর্ণা। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত গোটা এলাকা। সত্যিই অবাক করার মত এর প্রাকৃতিক রূপ। চারদিকে ঘন জঙ্গল, বড় বড় সব পাথর ডিঙ্গিয়ে মুল রাস্তা থেকে ১০০/১২০ ফুটের মতন উপরে উঠতে হবে ঝর্ণাটির উৎসমূখ দেখতে হলে। ৩টি ধাপ পেড়িয়ে মূল ঝর্ণা। ঝর্ণার হিমশীতল পানিতে তৃষ্ণা মিটিয়ে নিন।আমরা হাটছি কেওক্রা ড়াং এর পথে।

কেওকাডা ডাং যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি ছোট বড় ঝর্ণা চোখে পরবে। চিংড়ি ঝর্ণা এর মধ্যে সবচেয়ে বড়। পাহাড়ি ঝিরি, ঝর্ণাগুলো সারা বছর আদিবাসিদের পানির প্রয়োজন মিটায়। পথের ঝর্ণাগুলো পর্যটক, অভিযাত্রীদের (কেওকাডা ডাং, তাজিং ডাং, তিন মুখ পিলার) চিত্তাকর্ষনের পাশাপাশি সুপেয় পানিরও যোগান দেয়। ঝর্ণা দেখার পাশাপাশি পথিক বিশ্রাম নেয় এখানে।
 
প্রায় ৩৫০/৪০০ মিটার লম্বা এবং ৩টি ধাপ পেরিয়ে ঝর্ণা অবিরাম বয়ে চলেছে সমতলের দিকে। আমাদের দেশের ঝর্ণাগুলি সাধারনত পাহাড়ে চুড়া থেকে সারাসরি নিচে নেমে আসে। চিংড়ি ঝর্ণা এর মধ্যে ব্যতিক্রম একে একে ৩টি ধাপে নেমে এসেছে পাহাড়ে চুড়া থেকে। প্রতিটি ধাপকেই এক একটি আলাদা ঝর্ণা মনে হয়। খানে প্রতিটি ধাপেরই রয়েছে আলাদা আলাদা সৈন্দর্য্য; সম্পূর্ণ ঝর্ণাটির বন্য রূপ আপনার মনে গেঁথে থাকবে অনেক দিন। চিড়িং ঝর্ণা শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা সারা বছর প্রবাহিত হয় তার আপন মহিমায়। তবে ঝর্ণার দস্যির রূপ দেখতে হলে বর্ষাকালই আদর্শ

-------------- ভ্রমণের তথ্য --------------
অবস্থান                         :  বান্দরবানের গহিনে
ভ্রমন ক্যাটাগরি               :  এডভেঞ্চার/ ট্রেকিং
ভ্রমনের উপযুক্ত সময়       :  বর্ষা কাল (মার্চ-অক্টোবর) ভেসেবেড়ানো সাদা মেঘের সাথে মিতালীর এটিই উপযুক্ত সময়।
  • কেমন খরচ :
o   প্রতি বেলা খাবার ১২০ থেকে ১৫০টাকা
o   চান্দের গাড়ি জনপ্রতি ২৫০/৩০০টাকা
o   ঘড় ভাড়া ২০০০/২৫০০ টাকা
o   গাইড প্রতিটি (১০/১২ জনের) টিমের জন্য ৩০০০/৫০০০ টাকা


  • পরামর্শ : পাহাড়ের অপার্থিব এই সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে গ্রুপের সাথে আসতে হবে।৮/১০ জনের একটি গ্রুপ হলে নিরাপত্তা ও খরচ সাশ্রয় হবে।
  • নোট : বান্দরবানের এই অংশে ভ্রমনের জন্য আপনাকে রোমা বাজার থেকে গাইড সঙ্গে নিতে হবে। আর্মি/পুলিশ ক্যাম্পে নাম রেজি. করতে হবে। রেজি. করতে 2টি মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
  • কি ভাবে যাবেন : ঢাকার সায়দাবাদ, কমলাপুর, গাবতলি থেকে হানিফ, শ্যমলি, ইউনিক, সহ প্রায় সব পরিবহনের বাস প্রতি রাতেই ছেড়ে যায় বান্দরবানের উদ্দেশ্যে বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড থেকে জিপে/ ট্রলারে রুমা বাজার এখান থেকে চান্দের গাড়িতে বগা লেক বগা লেক থেকে কেওক্রা ডাং পথে চিংড়ি ঝর্ণা।

Post a Comment

0 Comments